পোস্টগুলি

বাবার খালি চেয়ারটি

ছবি
আমাদের বাড়ির বারান্দার এক কোণে একটি কাঠের চেয়ার আছে। পুরনো, একটু ঝাঁপসা রঙের, নিচে একটু ফাটা, আর হেলান দেওয়ার জায়গাটায় বাবার ঘামের গন্ধ লেগে আছে। এখন আর কেউ সেই চেয়ারে বসে না। বসত বাবা। আজ বাবা দিবস। সকালের সূর্যটা আজ যেন একটু বেশি মলিন লাগছে। পাখির ডাকেও আজ যেন একটা শূন্যতা। ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই বাবার চেয়েটার দিকে চোখ গেল। মনে হলো, বাবা যেন একটু পরেই সেই চেয়ারে বসবেন—হাতে একটা চা-এর কাপ, মুখে হালকা হাসি আর চোখে অনেক স্বপ্ন। কিন্তু না। বাবা তো আজ আর নেই। প্রায় তিন বছর হয়ে গেল। অথচ বাবার চলে যাওয়ার দিনটা এখনও যেন চোখের সামনে ভাসে। হাসপাতালের সেই শীতল ঘর, ডাক্তারদের ব্যস্ততা, আমার কাঁপা কণ্ঠে ডাকা—"বাবা, তুমি কি শুনতে পাচ্ছো?" আর বাবার নিস্তব্ধ দৃষ্টি... আমার বাবা ছিলেন খুব সাধারণ একজন মানুষ। তিনি কখনও বড় ব্যবসায়ী ছিলেন না, ব্যাংক ব্যালেন্সে অনেক টাকা ছিল না, দামি গাড়ি ছিল না। কিন্তু আমার জন্য তিনি ছিলেন সবচেয়ে ধনী মানুষ। তার কাঁধ ছিল আমার পৃথিবী, তার হাত ধরেই আমি হাঁটতে শিখেছিলাম। ছোটবেলায় রাতে ঘুমাতে না পারলে তিনি গল্প বলতেন। কখনও রাজা-রানির গল্প, কখনও নিজের জীবনে...

ছায়ার মতো একজন

ছবি
পৃথিবীর প্রথম শব্দ হয়তো 'মা' কিন্তু জীবনের প্রথম নিরাপদ ছায়া 'বাবা'। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বের বহু দেশে পালিত হয় ‘বিশ্ব বাবা দিবস’। কিন্তু এই দিবস কেবল একটি ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়-এটি একজন পুরুষের নিঃশব্দ ত্যাগ, দায়িত্ববোধ, নির্ভরতার গভীর স্বীকৃতি। ২০২৫ সালে, ১৫ জুন বিশ্ব বাবা দিবস পালিত হচ্ছে। এ দিনে আমরা স্মরণ করি সেইসব মানুষদের, যাঁরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়তে নিজের বর্তমান বিলিয়ে দেন, যাঁদের হাত ধরেই সন্তানের আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয়। বিশ্ব বাবা দিবসের সূচনা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটনের সোনারা স্মার্ট ডড নামের এক নারী ১৯১০ সালে প্রথমবার এই দিবস পালনের উদ্যোগ নেন। তিনি চেয়েছিলেন, যেমন মায়েদের জন্য মা দিবস রয়েছে, বাবাদের জন্যও একটি দিন থাকুক-যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে সন্তানদের বড় করেন। তাঁর বাবা উইলিয়াম স্মার্ট একজন একক পিতা ছিলেন, যিনি মায়ের মৃত্যু পর সন্তানদের লালনপালন করেন। সেই ভালোবাসা থেকেই জন্ম নেয় বাবা দিবস। ১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে Father’s Day হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি দেন। পরবর্তীতে এটি বিশ্বব্যাপী পালিত হতে...

প্রত্যেক পুরুষের জন্য ১৪টি সহজ কিছু অমূল্য নিয়ম

ছবি
প্রত্যেক পুরুষের জন্য ১৪টি সহজ কিছু অমূল্য নিয়ম ১. রাগ – এটি আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু। আসতে দিন, যেতে দিন, কিন্তু আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেবেন না। ২. সুখ – কারো সঙ্গে বা কোনো বস্তুতে নয়, সুখ আপনার নিজের ভিতর থেকেই আসে। অন্যরা কেবল তা বাড়িয়ে দিতে পারে। ৩. ঘৃণাকারীরা – ওরা আপনার বিনামূল্যের বিজ্ঞাপনদাতা। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাদের ব্যবহার করুন। ৪. পরিবার – কেবল রক্তের সম্পর্ক নয়, হৃদয়ের সম্পর্কই সত্যিকারের পরিবার। ৫. ভাইদের মাঝে – ২৪ ঘণ্টার বেশি মনোমালিন্য থাকে না। ছোটখাটো দ্বন্দ্ব ক্ষমা ও ভালোবাসায় মুছে দিন। ৬. নিজেকে রক্ষা করুন – লড়াই করা ও আত্মরক্ষা জানা একজন পুরুষের আবশ্যিক গুণ। ৭. জিম – মনের চাপ কমানোর শ্রেষ্ঠ স্থান। শারীরিক শক্তি মানেই মানসিক দৃঢ়তা। ৮. খাদ্যাভ্যাসে সচেতন হোন – আপনি যা খান, আপনি তাই। চিনি কমান, প্রোটিন বাড়ান। ৯. মূল্যবান নারীকে খুঁজুন – যে সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে যৌনতা বা অর্থ নয়, বরং ভালোবাসা ও সম্মানকে গুরুত্ব দেয়। ১০. প্রত্যাখ্যান মানেই শেষ নয় – সম্মান বজায় রেখে, নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিন। ১১. পিতামাতাকে ভালোবাসুন – মাকে ভালোবাস...

মা বাবা চাকুরিজীবী!

ছবি
৫ বছরের ছোট্ট মেয়েকে বুয়ার কাছে রেখে অফিসে যায় চাকুরিজীবী দম্পতি। বুয়া এসির বাতাসে ঘুমায় আর বাচ্চা মেয়েটা সারাদিন একা থাকে। একদিন... অফিসে যাওয়ার সময় বাচ্চা মেয়েটা মায়ের আঁচল ধরে বললো, " মা আমার একা থাকতে ভালোলাগেনা। " মা বললো, " একা থাকবে কেনো মা। বুয়া তো আছেই। " " তুমি থাকো না প্লিজ। " কথাটা বলে মেয়েটা কান্না শুরু করে দিয়েছে। মা ধমক দিয়ে বললো " জেদ করে না মা। বুয়ার সাথে গল্প করবে, খেলবে। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসবো। " গত দুই বছর ধরে এটা প্রতিদিনের ঘটনা। রাতে স্বামী স্ত্রী দু'জনে ফিরে নিজেদের মতো থাকেন। মাথা ব্যাথা, এসিডিটি, ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরেন। মেয়ের খোঁজ আর নেওয়া হয়ে ওঠে না। ইদানীং বাবা মা লক্ষ্য করলেন, মেয়ে একা একা কথা বলে,হাসে। কখনো কখনো গুনগুন করে কাঁদে। মেয়ের এই অবস্থা কয়েকমাস লক্ষ্য করে নিয়ে গেলেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার অবস্থা দেখে বললেন " মেয়েকে পর্যাপ্ত সময় দিন। " সময় তো আর সস্তা না। স্বামী স্ত্রী দুজনই চাকরি ছাড়তে নারাজ। ফলস্বরূপ, ফুলের মতো ফুটফুটে মেয়েটা এখন সারাদিন চুপ করে থাকে। কথা বলেনা কারো সাথে। একাই হাসে...

পৃথিবী কি ধ্বংস হয়ে যাবে?

ছবি
বাইবেলের উত্তরঃ না, এই পৃথিবীকে কখনোই ধ্বংস করা হবে না, আগুনে পোড়ানো হবে না, বা পৃথিবীর পরিবর্তে অন্য কোনো গ্রহকে বসবাস করার জন্য ব্যবহার করা হবে না। বাইবেল বলে যে, ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন যাতে আমরা এখানে চিরকাল ধরে বাস করতে পারি। “ধার্ম্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।“—গীতসংহিতা ৩৭:২৯. “[ঈশ্বর] পৃথিবীকে তাহার ভিত্তিমূলের উপরে স্থাপন করিয়াছেন; তাহা অনন্তকালেও বিচলিত হইবে না।“—গীতসংহিতা ১০৪:৫. “পৃথিবী নিত্যস্থায়ী।“—উপদেশক ১:৪. “[ঈশ্বর] পৃথিবীকে সংগঠন করিয়া নির্ম্মাণ করিয়াছেন, তাহা স্থাপন করিয়াছেন, ও অনর্থক সৃষ্টি না করিয়া বাসস্থানার্থে নির্ম্মাণ করিয়াছেন।“—যিশাইয় ৪৫:১৮. মানুষ কি এই পৃথিবীকে নষ্ট করে ফেলবে? ঈশ্বর কখনোই এমনটা ঘটতে দেবেন না যে, মানুষ এই পৃথিবীকে দূষণের মাধ্যমে, যুদ্ধ করে বা অন্য কোনো উপায়ে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস বা নষ্ট করে ফেলবে। এর পরিবর্তে তিনি “যারা পৃথিবী ধ্বংস করছে তাদের ধ্বংস“ করে দেবেন। (প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮) তিনি কীভাবে তা করবেন? ঈশ্বর মানব সরকারগুলোকে সরিয়ে দিয়ে এগুলোর জায়গায় এমন এক স্বর্গীয় রাজ্য নিয়ে আসবেন যেটা সবচ...

ঈশ্বর কি আমাদের প্রার্থনা শোনেন?

ছবি
“ঈশ্বরের নিকটবর্তী হও, তাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্তী হবেন।”—যাকোব ৪:৮. ঈশ্বর কি আমাদের প্রার্থনা শোনেন? আপনি যখন প্রার্থনা করেন, তখন কি আপনার মনে হয়েছে ঈশ্বর আপনার প্রার্থনা শোনেন কি না? অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা থাকে। অনেকেই বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রার্থনা করে, যদিও সেই সমস্যাগুলো রয়েই যায়। এর মানে কি এই যে, ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনা শোনেন না? না! বাইবেল আমাদের নিশ্চয়তা দেয়, আমরা যখন সঠিক উপায়ে প্রার্থনা করি, তখন ঈশ্বর তা শুনে থাকেন। বাইবেল এই সম্বন্ধে যা বলে, আসুন আমরা তা দেখি। ঈশ্বর প্রার্থনা শোনেন। “হে প্রার্থনা-শ্রবণকারী, তোমারই কাছে মর্ত্ত্যমাত্র আসিবে।”—গীতসংহিতা ৬৫:২. কিছু লোক মনে করে, কেউ তাদের প্রার্থনা শোনে না। তা সত্ত্বেও, তারা প্রার্থনা করে কারণ তারা বলে এটা করলে তারা মনের শান্তি লাভ করে। কিন্তু, প্রার্থনা করা কেবলমাত্র মনকে শান্ত করার কোনো উপায় নয়। বাইবেল আমাদের নিশ্চয়তা দেয়, ‘সদাপ্রভু [“যিহোবা,” NW] a সেই সকলেরই নিকটবর্ত্তী, যাহারা তাঁহাকে ডাকে, যাহারা সত্যে তাঁহাকে ডাকে। . . . আর তাহাদের আর্ত্তনাদ শুনিয়া’ থাকেন।—গীতসংহিতা ১৪৫:১৮, ১৯. আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি...

”প্রার্থনা “ কেউ কি আমাদের প্রার্থনা শোনেন?

ছবি
“হে প্রার্থনা-শ্রবণকারী, তোমারই কাছে মর্ত্ত্যমাত্র আসিবে।”—গীতসংহিতা ৬৫:২. লোকেরা যা বলে অনেকের মতে, প্রার্থনা “ছাদ পর্যন্ত যায় কিনা সন্দেহ!” যে-সমস্ত লোক কষ্ট পাচ্ছে, তারা হয়তো সন্দেহ করে যে, তাদের প্রার্থনা কেউ শোনেন কি না। বাইবেল যা বলে বাইবেল জানায়, “ধার্ম্মিকগণের প্রতি প্রভুর [ঈশ্বরের] চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।” (১ পিতর ৩:১২) এটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে, ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনা শোনেন। তবে, বিশেষ করে তিনি সেই ব্যক্তিদের প্রার্থনা শুনতে ইচ্ছুক, যারা তাঁর নীতিগুলো মেনে চলে। আমরা যখন প্রার্থনা করি, তখন ঈশ্বর যে তা শুনতে ইচ্ছুক, এই বিষয়ে আরেকটা শাস্ত্রপদ বলে: “তাঁহার উদ্দেশে আমরা এই সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি যে, যদি তাঁহার ইচ্ছানুসারে কিছু যাচ্ঞা করি, তবে তিনি আমাদের যাচ্ঞা শুনেন।” (১ যোহন ৫:১৪) তাই, যারা আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করে তাদের এটা জানা প্রয়োজন যে, কোন ধরনের প্রার্থনা ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। কীভাবে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত? “আর প্রার্থনাকালে তোমরা অনর্থক পুনরুক্তি করিও না।” —মথি ৬:৭. লোকের...