পোস্টগুলি

মে, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মা বাবা চাকুরিজীবী!

ছবি
৫ বছরের ছোট্ট মেয়েকে বুয়ার কাছে রেখে অফিসে যায় চাকুরিজীবী দম্পতি। বুয়া এসির বাতাসে ঘুমায় আর বাচ্চা মেয়েটা সারাদিন একা থাকে। একদিন... অফিসে যাওয়ার সময় বাচ্চা মেয়েটা মায়ের আঁচল ধরে বললো, " মা আমার একা থাকতে ভালোলাগেনা। " মা বললো, " একা থাকবে কেনো মা। বুয়া তো আছেই। " " তুমি থাকো না প্লিজ। " কথাটা বলে মেয়েটা কান্না শুরু করে দিয়েছে। মা ধমক দিয়ে বললো " জেদ করে না মা। বুয়ার সাথে গল্প করবে, খেলবে। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসবো। " গত দুই বছর ধরে এটা প্রতিদিনের ঘটনা। রাতে স্বামী স্ত্রী দু'জনে ফিরে নিজেদের মতো থাকেন। মাথা ব্যাথা, এসিডিটি, ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পরেন। মেয়ের খোঁজ আর নেওয়া হয়ে ওঠে না। ইদানীং বাবা মা লক্ষ্য করলেন, মেয়ে একা একা কথা বলে,হাসে। কখনো কখনো গুনগুন করে কাঁদে। মেয়ের এই অবস্থা কয়েকমাস লক্ষ্য করে নিয়ে গেলেন ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার অবস্থা দেখে বললেন " মেয়েকে পর্যাপ্ত সময় দিন। " সময় তো আর সস্তা না। স্বামী স্ত্রী দুজনই চাকরি ছাড়তে নারাজ। ফলস্বরূপ, ফুলের মতো ফুটফুটে মেয়েটা এখন সারাদিন চুপ করে থাকে। কথা বলেনা কারো সাথে। একাই হাসে...

পৃথিবী কি ধ্বংস হয়ে যাবে?

ছবি
বাইবেলের উত্তরঃ না, এই পৃথিবীকে কখনোই ধ্বংস করা হবে না, আগুনে পোড়ানো হবে না, বা পৃথিবীর পরিবর্তে অন্য কোনো গ্রহকে বসবাস করার জন্য ব্যবহার করা হবে না। বাইবেল বলে যে, ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন যাতে আমরা এখানে চিরকাল ধরে বাস করতে পারি। “ধার্ম্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।“—গীতসংহিতা ৩৭:২৯. “[ঈশ্বর] পৃথিবীকে তাহার ভিত্তিমূলের উপরে স্থাপন করিয়াছেন; তাহা অনন্তকালেও বিচলিত হইবে না।“—গীতসংহিতা ১০৪:৫. “পৃথিবী নিত্যস্থায়ী।“—উপদেশক ১:৪. “[ঈশ্বর] পৃথিবীকে সংগঠন করিয়া নির্ম্মাণ করিয়াছেন, তাহা স্থাপন করিয়াছেন, ও অনর্থক সৃষ্টি না করিয়া বাসস্থানার্থে নির্ম্মাণ করিয়াছেন।“—যিশাইয় ৪৫:১৮. মানুষ কি এই পৃথিবীকে নষ্ট করে ফেলবে? ঈশ্বর কখনোই এমনটা ঘটতে দেবেন না যে, মানুষ এই পৃথিবীকে দূষণের মাধ্যমে, যুদ্ধ করে বা অন্য কোনো উপায়ে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস বা নষ্ট করে ফেলবে। এর পরিবর্তে তিনি “যারা পৃথিবী ধ্বংস করছে তাদের ধ্বংস“ করে দেবেন। (প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮) তিনি কীভাবে তা করবেন? ঈশ্বর মানব সরকারগুলোকে সরিয়ে দিয়ে এগুলোর জায়গায় এমন এক স্বর্গীয় রাজ্য নিয়ে আসবেন যেটা সবচ...

ঈশ্বর কি আমাদের প্রার্থনা শোনেন?

ছবি
“ঈশ্বরের নিকটবর্তী হও, তাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্তী হবেন।”—যাকোব ৪:৮. ঈশ্বর কি আমাদের প্রার্থনা শোনেন? আপনি যখন প্রার্থনা করেন, তখন কি আপনার মনে হয়েছে ঈশ্বর আপনার প্রার্থনা শোনেন কি না? অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা থাকে। অনেকেই বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রার্থনা করে, যদিও সেই সমস্যাগুলো রয়েই যায়। এর মানে কি এই যে, ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনা শোনেন না? না! বাইবেল আমাদের নিশ্চয়তা দেয়, আমরা যখন সঠিক উপায়ে প্রার্থনা করি, তখন ঈশ্বর তা শুনে থাকেন। বাইবেল এই সম্বন্ধে যা বলে, আসুন আমরা তা দেখি। ঈশ্বর প্রার্থনা শোনেন। “হে প্রার্থনা-শ্রবণকারী, তোমারই কাছে মর্ত্ত্যমাত্র আসিবে।”—গীতসংহিতা ৬৫:২. কিছু লোক মনে করে, কেউ তাদের প্রার্থনা শোনে না। তা সত্ত্বেও, তারা প্রার্থনা করে কারণ তারা বলে এটা করলে তারা মনের শান্তি লাভ করে। কিন্তু, প্রার্থনা করা কেবলমাত্র মনকে শান্ত করার কোনো উপায় নয়। বাইবেল আমাদের নিশ্চয়তা দেয়, ‘সদাপ্রভু [“যিহোবা,” NW] a সেই সকলেরই নিকটবর্ত্তী, যাহারা তাঁহাকে ডাকে, যাহারা সত্যে তাঁহাকে ডাকে। . . . আর তাহাদের আর্ত্তনাদ শুনিয়া’ থাকেন।—গীতসংহিতা ১৪৫:১৮, ১৯. আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি...

”প্রার্থনা “ কেউ কি আমাদের প্রার্থনা শোনেন?

ছবি
“হে প্রার্থনা-শ্রবণকারী, তোমারই কাছে মর্ত্ত্যমাত্র আসিবে।”—গীতসংহিতা ৬৫:২. লোকেরা যা বলে অনেকের মতে, প্রার্থনা “ছাদ পর্যন্ত যায় কিনা সন্দেহ!” যে-সমস্ত লোক কষ্ট পাচ্ছে, তারা হয়তো সন্দেহ করে যে, তাদের প্রার্থনা কেউ শোনেন কি না। বাইবেল যা বলে বাইবেল জানায়, “ধার্ম্মিকগণের প্রতি প্রভুর [ঈশ্বরের] চক্ষু আছে; তাহাদের বিনতির প্রতি তাঁহার কর্ণ আছে; কিন্তু প্রভুর মুখ দুরাচারদের প্রতিকূল।” (১ পিতর ৩:১২) এটি স্পষ্টভাবে দেখায় যে, ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনা শোনেন। তবে, বিশেষ করে তিনি সেই ব্যক্তিদের প্রার্থনা শুনতে ইচ্ছুক, যারা তাঁর নীতিগুলো মেনে চলে। আমরা যখন প্রার্থনা করি, তখন ঈশ্বর যে তা শুনতে ইচ্ছুক, এই বিষয়ে আরেকটা শাস্ত্রপদ বলে: “তাঁহার উদ্দেশে আমরা এই সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি যে, যদি তাঁহার ইচ্ছানুসারে কিছু যাচ্ঞা করি, তবে তিনি আমাদের যাচ্ঞা শুনেন।” (১ যোহন ৫:১৪) তাই, যারা আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করে তাদের এটা জানা প্রয়োজন যে, কোন ধরনের প্রার্থনা ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে। কীভাবে আমাদের প্রার্থনা করা উচিত? “আর প্রার্থনাকালে তোমরা অনর্থক পুনরুক্তি করিও না।” —মথি ৬:৭. লোকের...

বাবা “ছায়াটা এখন আমার”

ছবি
রায়হান তখন সদ্য অনার্স শেষ করেছে। শহরের কলেজ থেকে ফলাফল হাতে পেয়েই বাবাকে ফোন করেছিল, “বাবা, ফার্স্ট ক্লাস পেলাম!” ওপাশ থেকে বাবার গলা — গর্বে টইটম্বুর, “জানতাম তুই পারবি, বাবা।” সেই ফোনটাই ছিল শেষ কথা। দু’দিন পর হঠাৎ হাই প্রেশারে স্ট্রোক করে বাবার মৃত্যু হয়। রায়হানের চোখের সামনে যেন গোটা পৃথিবীটা থেমে গেল। বাবা, যে মানুষটা জীবনভর সাইকেল চালিয়ে বাজার করেছেন, নুনে-তেলে সংসার টেনেছেন, সেই মানুষটা এমন হঠাৎ করে চলে যেতে পারে — এটা কিছুতেই মানতে পারছিল না। বাবা ছিলেন তিন ভাইবোনের একমাত্র ভরসা। মা অসুস্থ, ছোট বোন তখনো স্কুলে পড়ে, আর ভাইটা একদম ছোট। রায়হান ভেবেছিল বাবার মৃত্যুর পর হয়তো দুই-এক মাস সময় পাবে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার। কিন্তু সময় কোনো অবকাশ দেয়নি। ২. দায়িত্বের শুরু শেষকৃত্য শেষ হতেই আত্মীয়-স্বজনরা নিজেদের জীবনে ফিরে গেল। রায়হান বুঝে গেল — এখন থেকে ওকেই হতে হবে পরিবারের নতুন “বাবা”। প্রথম কাজ, বাবার রেখে যাওয়া হিসাবগুলো দেখা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সামান্য কিছু সঞ্চয়, কয়েকটা ঋণ, আর ছোট্ট একটা বাড়ি। ভাঙা চালার নিচে বসে রায়হান বাবার পুরনো ডায়েরি হাতে নিল। সেখানে লেখা ছিল— “রায়হানক...

"চিরদিনের অপেক্ষা" বাবা

ছবি
বাবা আর নেই। এই কথাটা মনে মনে হাজারবার বললেও, হৃদয়ে যেন বিশ্বাস হতে চায় না। বাবা যে মানুষটা ছিল আমার জীবনের ছায়া, আমার প্রথম শিক্ষক, আমার প্রথম বন্ধু। শেষবার যখন বাবাকে হাসপাতালে দেখে এলাম, তিনি আমার দিকে তাকিয়ে শুধু বলেছিলেন, “তুই ঠিক মতো খাস, সময়মতো ঘুমাস, আর... নিজের মা'টার খেয়াল রাখিস।” তারপর আর কিছু বলেননি। চোখে একটা শান্ত আলো ছিল, যেন অনেক কিছু বলতে চেয়েও থেমে গেলেন। আজ ঠিক সাত দিন হয়ে গেল বাবাকে মাটি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার ঘরের প্রতিটি কোণে তার উপস্থিতি — এখনো আছে। সকালে উঠেই মনে হয়, বাবা বারান্দায় বসে চা খাচ্ছেন, হয়তো ডেকেছেন, "এই রাহুল, ঘুম ভাঙে না তোর!" আমি বাবার চেয়ারটাতে বসি, কিন্তু কিছুতেই ওভাবে বসতে পারি না — সেই ভার, সেই বিশালতা, আমার মধ্যে নেই। মায়ের মুখটা আর আগের মতো নেই। যেন প্রতিটি নিঃশ্বাসে বাবার অভাব লেখা। আমি অনেক কিছু করতে পারি, কিন্তু বাবার জায়গাটা পূরণ করতে পারি না। একদিন সন্ধ্যায় বাবার আলমারি খুলে দেখি — একটা পুরনো চিঠি। লেখা: “রাহুল, আমি জানি আমি থাকব না সব সময়। কিন্তু তুই থাকবি, আর তোর মধ্যেই আমি থাকব। তুই মানুষ হ, ভদ্র হ, আর মনে রা...

"মা দিবস" সন্তানের কাছে মা-ই হলেন জগতের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি

ছবি
সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে মা দিবস। ছবি : সংগৃহীত আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই, ফেসবুকটা যেই খুলেছি, শুধুই মাকে নিয়ে লেখা পোস্টে ভরা। ফেসবুকে কিছু লেখা তুলে ধরা হলো আমার কাছে মায়ের জন্য আলাদা কোনো দিবস নেই..!! প্রতি সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা, দিন, মাস, বছরজুড়ে, সারাজীবন ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল –‘মা’, মা আমি তোমায় খুব ভালোবাসি, আরও অনেক লেখাই পড়লাম, যেন মায়ের গর্ব করা সন্তান, খুব ভালোবাসে মাকে। কেউ কেউ তো আবার মাকে নিয়ে সেলফি, খুব সুন্দর লাগে এইসব দেখতে, কত ভালোবাসা মায়ের প্রতি, খুব সুন্দর সম্পর্ক মা আর সন্তানের তাই না। দেখতে কি ভালো লাগে, লাইকের পর লাইক, কত কমেন্ট। চোখটা এখন আমাদের শুধু ফেসবুকে কি খুশি আমরা, হ্যাঁ আমাদের কথাই বলছি যাদের ভালোবাসাটা শুধু এখন লাইক আর কমেন্টের জন্য, এখন যদি মা এসে বলেন ‘বাবা’ একটু সাহায্য কর না, তখনই বেশি জ্বালিয়ো না তো, অথচ মাকে নিয়ে লেখা পোস্টের, উত্তর দিচ্ছে, হ্যাঁ আমার মা আমার সব, আমি আমার মাকে খুব ভালোবাসি, আমাদের সবার উচিত মাকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসা, মায়ের যত্ন করা আরও কত কি লিখেছি আমরা, কত ভালোবাসা মায়ের প্রতি, মায়ের ডাকে কিন্তু সাড়া নেই। হ্যাঁ এখন আমাদের ভা...

কীভাবে বিবাহিত জীবন সুন্দর করবেন: ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

ছবি
কীভাবে বিবাহিত জীবন সুন্দর করবেন  কীভাবে বিবাহিত জীবন সুন্দর করবেন: ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:: ১. একসাথে কখনো রেগে যাবেন না বিবাহিত জীবনে রাগ আসতেই পারে, তবে কখনোই একসাথে রেগে যাবেন না। একজন যদি রেগে যান, আরেকজন যেন শান্ত থাকেন। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। ২. একসাথে সময় কাটানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। দুজন একসাথে বসে গল্প করা, রান্না করা, ঘুরতে যাওয়া বা দিনে অন্তত একবেলা একসাথে টেবিলে খাওয়া—এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো সম্পর্ককে দৃঢ় করে। সময় দিন এবং সময় উপভোগ করুন। ৩. ইগো বাদ দিয়ে ক্ষমা চাইতে শিখুন ইগো অনেক সম্পর্কেরই শত্রু। নিজের ভুল হলে তা স্বীকার করুন এবং আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান। ক্ষমা চাওয়াতে ছোট নয়, বরং সম্পর্ককে বড় করার ইচ্ছা প্রকাশ পায়। ৪. অতীত নিয়ে টানাটানি নয়। পুরনো ভুল বারবার মনে করিয়ে দেওয়া বা খোঁটা দেওয়া সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তোলে। বরং বর্তমান ঠিক রাখুন, ভবিষ্যৎ আপনাতেই সুন্দর হবে। ৫. পার্টনারকে সম্মান দিন। কখনো সঙ্গীকে ছোট করে কথা বলবেন না, বিশেষ করে অন্যের সামনে। বরং তার প্রশংসা করুন, মজা করলেও যেন অপমান না হয়। ভালোবাসা মানে সম্মান। ৬. মনে রাখুন, আপ...

ঝগড়ার পরে কথা বন্ধ করা

ছবি
ঝগড়ার পরে কথা বন্ধ করা বিয়ের সম্পর্কে, একই ছাদের নিচে থাকতে হলে, ঝগড়া হয় না এমন যুগল খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা ও ভিন্ন ব্যক্তিত্ব নিয়ে বড় হওয়া দুজন মানুষ যখন একে অন্যের সঙ্গে ভালোবাসার টানে মিলিত হন, তাদের মধ্যে হাজারো বিষয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয়। তাই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হওয়া অতি স্বাভাবিক এক ঘটনা। তবে ঝগড়া হলে কি কথা বন্ধ করবেন নাকি চালিয়ে যাবেন? ঝগড়া করে চুপ করে যাওয়া, রাগ করে কথা বন্ধ করা বা কথার উত্তর না দেওয়ার উদাহরণ পাওয়া যায় অসংখ্য। এককথায় একে ‘সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট’ বলা হয়। অনেকে ভাবেন ‘ঝগড়ার বিষয় নিয়ে কথা না বলে পাশ কাটিয়ে যেতে পারলেই তো মিটে গেলো। উত্তর না দিলে ঝগড়াও হবে না।’ ‘দুদিন কথা না বললেই ঠিক হয়ে যাবে।’ কিন্তু এসব ভেবে কথা বন্ধ করে আপনি নিজের সম্পর্কের অপূরণীয় ক্ষতি করছেন। • গবেষণা যা বলছে- ১. গবেষণায় দেখা গেছে, দম্পতিদের মধ্যে জুতসই যোগাযোগের অভাব ও ভুল বোঝাবুঝি সম্পর্কে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (এপিএ) একটি গবেষণা বলছে, দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়ার সময় ঠিকঠাক যোগাযোগ না থাকলে তা সম্পর্কের স্থায়িত্বকে হুমকির মুখ...

মা এখনো অংক বোঝেনা

ছবি
  মা এখনো অংক বোঝেনা মা এখনো অংক বোঝেনা, ১ টা রুটি চাইলে ২ টো নিয়ে আসে। কোথাও যাওয়ার সময় ২০ টাকা চাইলে ৫০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়। মা ইংরেজিও বোঝে না, I hate u বললে উল্টে না বুঝে ছেলেকে ভালোবেসে বুকে টেনে নেয়। মা মিথ্যেবাদী, না খেয়ে বলে খেয়েছি। পেটে খিদে থাকা সত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবারটা ছেলের জন্য যত্ন করে তুলে রাখে। মা বোকা, সারাজীবন কলুর বলদের মতো রান্নাঘর আর আমাদের ভালোমন্দের পিছনে কাটিয়ে দেয়। মা চোর, বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাবো বললে রাতেই বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করে আমাকে দিয়ে দেয়। মা নির্লজ্জ, মাকে কতবার বলি আমার জিনিসে যেনো হাত না দেয়। তবুও মা নির্লজ্জের মতো আমার এলোমেলো পড়ে থাকা জিনিসগুলো নিজের হাতে গুছিয়ে রাখে। মা বেহায়া, আমি কথা না বললে জোর করে এসে বেহায়ার মতো গায়ে পড়ে কথা বলে। রাতে ঘুমের ঘোরে আমাকে দরজা দিয়ে উঁকি মেরে দেখে যায়। মায়ের কোন কমনসেন্স নেই, আমার প্লেটে খাবার কম দেখলে কেমন জানি করে। খোকা এতো খাবার কম কেন? এই বলে প্লেটটা ভর্তি করে দেয়। এতো খাওয়ার পরেও মায়ের চোখে যেনো কত দিনের না খাওয়া ছেলে। মা কেয়ারলেস, নিজের কোমরের ব্যাথা, পিঠের ব্যাথায় ধুঁকে ধুঁকে মারা গেল...

একজন পুরুষকে প্রতিদিন কি কি করতে হয়!

ছবি
একজন পুরুষকে প্রতিদিন কি কি চ্যালেঞ্জের ভিতর যেতে হয়!   একজন পুরুষকে প্রতিদিন অসংখ্য 'অনিশ্চিত অবস্থা'র মোকাবিলা করতে হয়। দিনে অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বাসা থেকে বের হবার পর রিক্সার অপেক্ষা। না পেলে হাঁটতে হয়। রিক্সা পেলে ভাড়া নিয়ে কিছুক্ষণ ক্যাঁচাল করা লাগে। বাসে গেলে সিট পাবো নাকি পাবো না এই নিয়ে শঙ্কা। ভাড়া নিয়ে হেল্পারের সাথে তর্কাতর্কি। অনেক যাত্রী উঠানোর জন্য একটু পরপর ব্রেক করলে চিল্লাতে হয়। অফিসে গেলে একটার পর একটা কাজ। কোনো কাজ কাউকে বুঝিয়ে দিতে হয়, কোনো কাজ নিজে করতে হয়। কাজ ঠিকমতো না হলে ফেরত পাঠাতে হয়, নিজের কাজ ভালো না হলে ঝাড়ি খেতে হয়। যারা ব্যবসায়ী, তাদের তো প্রতিনিয়ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ঐ জিনিসের দাম বাড়বে? আগে থেকে কিনে রাখতে হবে? কাস্টমার বাকিতে চাচ্ছে, দিয়ে দেবো? ১৭২২ টাকা হয়েছে, ১৭০০ টাকা দিতে চাচ্ছে? কী বলবো? ডিলার আসছে, টাকা দিতে হবে। ক্যাশে তো এতো টাকা নেই। চাকরি, ব্যবসা শেষে বাজারে যেতে হয়। মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গেছে। মাছের বাজারেও বেহাল দশা। কী মাছ নেবো? বড়ো মাছ নাকি পুঁটি মাছ? আজ না কিনে কাল সকালে কিনলে হবে না? একজন পু...

বয়স থাকতেই হাসবেন্ড ওয়াইফ, কোয়ালিটি টাইম এনজয় করা উচিৎ

ছবি
  বয়স থাকতেই হাসবেন্ড ওয়াইফ, কোয়ালিটি টাইম এনজয় করা উচিৎ বয়স থাকতেই হাসবেন্ড ওয়াইফ, কোয়ালিটি টাইম এনজয় করা উচিৎ, ভালো কোথাও বছরে একবার ঘুরতে যাওয়া,মাসে অথবা সপ্তাহে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া অনেক সময় টাকা পয়সা অপচয় মনে হতে পারে,জীবনে বেঁচে থাকলে রিজিকের ব্যাবস্থা হবেই.. কিন্তু একটা সময় আসে বৃদ্ধ বয়সে আপনার টাকাই থাকবে হয়তো কিন্তু আপনি চাইলেই কিছু খেতে পারবেন না,শারিরীক অসুস্থতায়, ঘুরতে মন চাইলেও তখন পারবেন না,দামী জামা কাপড় চাইলেও পড়তে মন চাইবে না৷ । সন্তানের লেখা পড়া অথবা বিভিন্ন রেসপন্সিবিলিটি আসবে, তার মধ্যেও সময় বের করা যায়... সব, সম্পদ, টাকা সন্তানের জন্য সঞ্চয় করবেন কিন্তু অল্প কিছু নিজেদের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিৎ... দিন শেষে আপনার বাচ্চার ও আলাদা লাইফ হবে,সে তার লাইফ এনজয় করবে,তখন খারাপ লাগবে..... তখন মেয়ে মেয়ের জামাই, ছেলে ছেলের বউ ঘুরতে গেলে, রেস্টুরেন্টে গেলে, আফসোস হবে না, তাদের এনজয়মেন্ট তখন ভালো লাগবে... তারাও সম্মান করবে..! টেনশন , টাকা পয়সার টানাটানি , ব্যাবসায় প্রবলেম , হাজার হাজার মানসিক কস্ট।কিন্তু এইগুলো যেনো সম্পর্কে প্রভাব না ফেলে। জীবনের এই ছোট ছোট এনজয়মেন্ট এর জন...

পুরুষ মানুষের মন খারাপ হয়!!

ছবি
পুরুষ মানুষের মন খারাপ হয়!! পুরুষ মানুষের মন খারাপের অনেক কারন থাকে। টাকা পয়সা তার একটি। এই জিনিষ টা ছাড়া পুরুষ হয়ে যায় হাঁফ লেডিস। ইন্টার্নীতে থাকার সময় যশোর থেকে এক টি বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। পাত্রীর ধনী বাবা আমাদের বাড়ী দেখতে এসে বাড়ির পথ থেকে পালিয়েছিল, ভিতরে আর আসে নি। এই বয়সে বিয়ের কোন আগ্রহ ছিল না আমার, সেটা চাইও নি, পাত্রীকেও চিনি না। তবুও একটা অদ্ভুত কষ্ট হয়েছিল সেদিন। কষ্টটা আমার জন্য নয়। আমাদের গোলপাতার বাড়িটার জন্য। .... এক ব্যাচ সিনিয়র এক ভাইয়ের সাথে দেখা হল সেদিন। চেহারা শুকিয়ে গেছে, চোখ কোটরে ঢুকেছে। ভালবেসে বিয়ে করেছিল, কোর্ট ম্যারেজ। পরিবার মেনেও নিয়েছিল। নবম মাসের মাথায় ডিভোর্স দিয়েছে। ডিভোর্স হয়েছে উনি নিজেও জানতেন না। খবর টা শুনেছে অন্যের কাছে। একটা বিশাল অপরাধ করেছিলেন উনি::: জুলাইতে এফসিপিএস চান্স হয় নাই, বিসিএস প্রিলি হয় নাই। বিসিএস রিটেন দেওয়া রংপুর মেডিকেলের এক ছেলের সাথে নতুন করে শুরু করেছে মেয়েটা। কারো চাই টাকা, আর কারো চাই স্ট্যাটাস। ভালবাসা এখানে শ্বান্ত্বনা । ভাইটাও এখন শ্বান্তনা পায়। মেয়েটির উপর তার কোন অভিযোগ নেই। " ও ভেবেছিল আমি ভাল মেডিকেলে পড়ি, অন...