পোস্টগুলি

জুন, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাবার খালি চেয়ারটি

ছবি
আমাদের বাড়ির বারান্দার এক কোণে একটি কাঠের চেয়ার আছে। পুরনো, একটু ঝাঁপসা রঙের, নিচে একটু ফাটা, আর হেলান দেওয়ার জায়গাটায় বাবার ঘামের গন্ধ লেগে আছে। এখন আর কেউ সেই চেয়ারে বসে না। বসত বাবা। আজ বাবা দিবস। সকালের সূর্যটা আজ যেন একটু বেশি মলিন লাগছে। পাখির ডাকেও আজ যেন একটা শূন্যতা। ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই বাবার চেয়েটার দিকে চোখ গেল। মনে হলো, বাবা যেন একটু পরেই সেই চেয়ারে বসবেন—হাতে একটা চা-এর কাপ, মুখে হালকা হাসি আর চোখে অনেক স্বপ্ন। কিন্তু না। বাবা তো আজ আর নেই। প্রায় তিন বছর হয়ে গেল। অথচ বাবার চলে যাওয়ার দিনটা এখনও যেন চোখের সামনে ভাসে। হাসপাতালের সেই শীতল ঘর, ডাক্তারদের ব্যস্ততা, আমার কাঁপা কণ্ঠে ডাকা—"বাবা, তুমি কি শুনতে পাচ্ছো?" আর বাবার নিস্তব্ধ দৃষ্টি... আমার বাবা ছিলেন খুব সাধারণ একজন মানুষ। তিনি কখনও বড় ব্যবসায়ী ছিলেন না, ব্যাংক ব্যালেন্সে অনেক টাকা ছিল না, দামি গাড়ি ছিল না। কিন্তু আমার জন্য তিনি ছিলেন সবচেয়ে ধনী মানুষ। তার কাঁধ ছিল আমার পৃথিবী, তার হাত ধরেই আমি হাঁটতে শিখেছিলাম। ছোটবেলায় রাতে ঘুমাতে না পারলে তিনি গল্প বলতেন। কখনও রাজা-রানির গল্প, কখনও নিজের জীবনে...

ছায়ার মতো একজন

ছবি
পৃথিবীর প্রথম শব্দ হয়তো 'মা' কিন্তু জীবনের প্রথম নিরাপদ ছায়া 'বাবা'। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বের বহু দেশে পালিত হয় ‘বিশ্ব বাবা দিবস’। কিন্তু এই দিবস কেবল একটি ক্যালেন্ডারের তারিখ নয়-এটি একজন পুরুষের নিঃশব্দ ত্যাগ, দায়িত্ববোধ, নির্ভরতার গভীর স্বীকৃতি। ২০২৫ সালে, ১৫ জুন বিশ্ব বাবা দিবস পালিত হচ্ছে। এ দিনে আমরা স্মরণ করি সেইসব মানুষদের, যাঁরা সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়তে নিজের বর্তমান বিলিয়ে দেন, যাঁদের হাত ধরেই সন্তানের আত্মবিশ্বাস জন্ম নেয়। বিশ্ব বাবা দিবসের সূচনা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ওয়াশিংটনের সোনারা স্মার্ট ডড নামের এক নারী ১৯১০ সালে প্রথমবার এই দিবস পালনের উদ্যোগ নেন। তিনি চেয়েছিলেন, যেমন মায়েদের জন্য মা দিবস রয়েছে, বাবাদের জন্যও একটি দিন থাকুক-যাঁরা নিঃস্বার্থভাবে সন্তানদের বড় করেন। তাঁর বাবা উইলিয়াম স্মার্ট একজন একক পিতা ছিলেন, যিনি মায়ের মৃত্যু পর সন্তানদের লালনপালন করেন। সেই ভালোবাসা থেকেই জন্ম নেয় বাবা দিবস। ১৯৭২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে Father’s Day হিসেবে জাতীয় স্বীকৃতি দেন। পরবর্তীতে এটি বিশ্বব্যাপী পালিত হতে...

প্রত্যেক পুরুষের জন্য ১৪টি সহজ কিছু অমূল্য নিয়ম

ছবি
প্রত্যেক পুরুষের জন্য ১৪টি সহজ কিছু অমূল্য নিয়ম ১. রাগ – এটি আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু। আসতে দিন, যেতে দিন, কিন্তু আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেবেন না। ২. সুখ – কারো সঙ্গে বা কোনো বস্তুতে নয়, সুখ আপনার নিজের ভিতর থেকেই আসে। অন্যরা কেবল তা বাড়িয়ে দিতে পারে। ৩. ঘৃণাকারীরা – ওরা আপনার বিনামূল্যের বিজ্ঞাপনদাতা। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তাদের ব্যবহার করুন। ৪. পরিবার – কেবল রক্তের সম্পর্ক নয়, হৃদয়ের সম্পর্কই সত্যিকারের পরিবার। ৫. ভাইদের মাঝে – ২৪ ঘণ্টার বেশি মনোমালিন্য থাকে না। ছোটখাটো দ্বন্দ্ব ক্ষমা ও ভালোবাসায় মুছে দিন। ৬. নিজেকে রক্ষা করুন – লড়াই করা ও আত্মরক্ষা জানা একজন পুরুষের আবশ্যিক গুণ। ৭. জিম – মনের চাপ কমানোর শ্রেষ্ঠ স্থান। শারীরিক শক্তি মানেই মানসিক দৃঢ়তা। ৮. খাদ্যাভ্যাসে সচেতন হোন – আপনি যা খান, আপনি তাই। চিনি কমান, প্রোটিন বাড়ান। ৯. মূল্যবান নারীকে খুঁজুন – যে সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে যৌনতা বা অর্থ নয়, বরং ভালোবাসা ও সম্মানকে গুরুত্ব দেয়। ১০. প্রত্যাখ্যান মানেই শেষ নয় – সম্মান বজায় রেখে, নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিন। ১১. পিতামাতাকে ভালোবাসুন – মাকে ভালোবাস...